২৫ এপ্রিল ২০১৫

ক্রিকেট ম্যাচ রিভিউ- সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী

একটি নিছক খেলার বৃত্তান্ত

ক্রিকেট এই তৃতীয় বিশ্বের কাছে আর শুধু একটা খেলা নেই, এ এক জাতীয় আবেগ।জিতলে জাতীয় পতাকায় শহর মুড়ে যায়,পটকা ফাটে,হারলে অঘোষিত শোকদিবস, রাস্তায় কারফিউ লাগে। স্কুলমাঠে টিফিন পিরিয়ডে,বিকেলের এক চিলতে শহুরে গলিতে,একটু সময় পেলেই ব্যাট বলের দ্বৈরথ চালু হয়ে যায় পৃথিবীর এই প্রান্তের বিভিন্ন অংশে, মা মাসীমারাও হলুদমাখা হাত মুছতে মুছতে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে আগ্রহ নিয়ে তাকান টিভি স্ক্রিনের কোণায় যেখানে স্কোরকার্ড ফুটে ওঠে।

সদ্য সমাপ্ত হল দ্বাদশ আই সি সি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫।অন্যতম ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া যারা আবার আয়োজক দেশও ছিল তারাই বিজয়ী হল আরেক প্রতিবেশী আয়োজক দেশ নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে হারিয়ে১৪ টা দেশ, প্রচুর উত্তেজক ম্যাচ, কিন্তু একটা ম্যাচ এর মধ্যে এমন ছিল যেটা শুধুমাত্র একটা খেলা হয়ে না থেকে প্রতিবেশী দুটো রাষ্ট্রের মর্যাদার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছিল যার আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছিল খেলা শুরুর কদিন আগে থেকেই এবং আশ্চর্যজনক ভাবে এই কথাগুলো লেখার মুহূর্তেও সেই আগুন পুরোপুরি নেভেনি। ধিকিধিকি জ্বলে উঠছে থেকে থেকেই ছাইচাপা অনলের মত সামান্য বারুদগন্ধ পেলেই।
ওয়াকিবহাল পাঠক নিশ্চয়ই এতক্ষণে ধরে ফেলেছেন কোন খেলাটার কথা বলা হচ্ছে, হ্যাঁ কোন দ্বিমত নেই। এটা কোয়ার্টার ফাইনালের ভারত – বাংলাদেশ ম্যাচ। একদম নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে দেখলে এবং ক্রিকেটীয় পরিসংখ্যানের অণুবীক্ষণে ফেলে কাটাছেঁড়া করলে এ বিষয়ে যে কেউ একমত হবেন যে বাংলাদেশ যতই তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের দল হোক না কেন ভারতের মত ক্রিকেটীয় দৈত্যের পাশাপাশি রাখার মত অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা এখনো হয়ে ওঠেনি তাদের। কিন্তু কথায় বলে ক্রিকেট এক বলের খেলা। অঘটন ব্যপারটাও ভীষণ ভাবে সত্যি এখানে। না হলে ১৯৮৩ তে আনকোরা ভারত বা ১৯৯৬ তে নবীন শ্রীলঙ্কা বাঘা বাঘা দেশ কে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারতনা। 
আর বাংলাদেশ ও তো ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকেই গ্রুপ লীগের ম্যাচে পরাজিত করেছিল যার ফলশ্রুতিতে ভারতের  টুর্নামেন্ট থেকে দ্রুত বিদায়ও নিশ্চিত হয়।তার সাথে যোগ করা যাক বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফর্ম, এই বিশ্বকাপেই লীগ পর্যায়ের খেলায় ক্রিকেট খেলার জনক খোদ ইংরেজদের উড়িয়ে দেওয়া, শক্তিশালী নিউজিল্যান্ড এর সাথেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া রীতিমত সমীহ আদায় করে নিয়েছিল ক্রিকেটবিশ্বের কাছে। আশার পারদ চড়ছিল তাই।এদিকে ভারতও বিশ্বকাপের আগের খারাপ সময় মুছে ফেলে অপরাজেয় হয়ে উঠছিল ক্রমে ক্রমে। ঠিক এই সময় একটা সাধারণ বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন আগুনে ঘৃতাহুতি দিল। শিরোনাম ‘মওকা’। বিচিত্র অঙ্গভঙ্গী সহকারে একটা গান পরিবেশন আর সাথে একটু টিটকিরি সূচক দৃশ্যাবলী যাতে ভারতের বিপরীতে খেলা পাকিস্তান, বাংলাদেশ,প্রভৃতি দেশ গুলোকে কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক ভাবে দেখানো হল।বাংলাদেশ থেকেও এর পাল্টা একটি ভিডিও প্রকাশ পেল যেখানে আবার দেখা গেল এক অদ্ভুতদর্শন সবুজ ভিনগ্রহী যে একে একে সমস্ত দেশের প্রতীকী প্রতিনিধিদের বিনাশ করে এগিয়ে আসছে ধীরে ধীরে আর ভারতের জার্সি পরা একটি ছোট প্রাণী ভয়ে আড়ালে লুকিয়ে পড়েছে। এর সাথে শুরু হল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে দুই যুযুধান দেশের কিছু মানুষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং গরমাগরম পোস্টের মিছিল যেসব অধিকাংশ সময়েই শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে যাচ্ছিল। এই একবিংশ শতাব্দীতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব ও প্রভাব অনস্বীকার্য, এর সুফল কুফল দুটোই আছে, সেটা অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু যেটা না বললেই নয় সেটা হল এই টগবগে সময়ের মাঝখানে টলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের একটা আপাত নিরীহ পোস্ট এবং সেটাকে কেন্দ্র করে একটা তাণ্ডব ঘটা। এই সবই ভারত বাংলাদেশ ম্যাচটার দিন ঘোষণার পরবর্তী সময়ে। প্রায় পঁচিশ বছরের পুরনো একটা ছবির সংলাপ যার বয়ান মোটামুটি এরকম ছিল - বেড়াল কখনো বাঘ হয়ে যায়না।বাঘের জাত আলাদা। বন্যার মত ধেয়ে আসতে থাকে এরপর ওপার বাংলা থেকে এর বিরুদ্ধে বয়ানের স্রোতঅবস্থা এমনটাই হয় যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবার সেই ছবি মুছে ফেলে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দিতে হয় স্বয়ং অভিনেতাকে। তবে ততক্ষণে “The damage has already been done”! ক্ষতে মলম লাগার বদলে অস্বস্তিকর জ্বালা আরও বেড়ে উঠতে থাকে। অবশেষে ম্যাচের দিন আসে। দুই বাংলার কয়েক কোটি মানুষ দমবন্ধ করে নজর রাখেন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল বেলা থেকেই। রাস্তাঘাট শুনশান, অফিসে হাজিরা কম।গৃহবধূ থেকে ঠিকে কাজের লোক, পরীক্ষার্থী শিশু কিশোর  অথবা রাশভারী গৃহকর্তা সকলেই অধীর আগ্রহে। টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিল ভারত।শুরুতে একটু নড়বড়ে থাকলেও  শেষমেশ সুরেশ রায়নার অভিজ্ঞতা আর রোহিত শর্মার অনবদ্য শতরানের সুবাদে তিনশ রানের স্বাস্থ্যকর চূড়ায় পৌঁছায় ভারত। কিন্তু এর মধ্যেই আবার বেশ কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে গেল।ভারতের সহঅধিনায়ক বিরাট কোহলি যার উপরে প্রত্যাশার এক বিপুল চাপ তৈরি হচ্ছিল তাঁকে ব্যক্তিগত মাত্র তিন রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বাস গোপন রাখতে পারেন নি বোলার রুবেল হোসেন।তবে উত্তেজনার বশে বেশ কিছু অভিধান বহির্ভূত শব্দ ছুঁড়ে দেন তিনি কোহলির উদ্দেশ্যে। ব্যক্তিগত ৯০ রানের মাথায় রোহিত শর্মার একটি ক্যাচ আউটের আবেদন নাকচ করে দেন আম্পায়ার। নো বল ডাকা হয় বলটি। পরে আবার তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হলে তিনিও একই সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।এই অসন্তোষ কাটতে না কাটতেই আরেকটা জোরালো আবেদন আসে সুরেশ রায়নার বিরুদ্ধে এল বি ডব্লিউ এর জন্য কিন্তু সেটিও ব্যাটসম্যানের পক্ষেই রায় দেন মাঠের আম্পায়ার, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য না নিয়ে নিজের বিচারে ভরসা রেখে।আর ভারতীয় ইনিংসে এই রোহিত শর্মা আর রায়না দুজনেই বড় অবদান রাখেন, প্রথমজন ১৩৭ ও পরের জন ৬৫ রান করে যান।এরপর বাংলাদেশের ব্যাটিংএর সময় তাদের দলের এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভাল ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহর একটি বিগ শট বাউন্ডারি লাইনের একদম ধারে ক্যাচ ধরেন শিখর ধাওয়ান।এবারেও মাঠে উপস্থিত আম্পায়াররা তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য না চেয়েই তর্জনী নির্দেশ করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।যদিও পরে টিভি রিপ্লে দেখে এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে ধাওয়ানের পা সীমানার দড়ি স্পর্শ করেছিল  কিনা ক্যাচটি ধরার সময়।তবু শেষমেশ ১০৯ রানে ম্যাচ টা হেরে বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবার সাথে সাথেই ভারত ও আইসিসির দিকে আঙ্গুল তোলা শুরু করেন বাংলাদেশের অনেকেই,আম্পায়ার দেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় এই সুবাদে। পরিস্থিতি এতটাই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছয় যে আইসিসির তরফে বিবৃতি দেওয়া হয় যাতে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের অমর্যাদা না করা হয় এবং তদুপরি সিদ্ধান্তগুলি সব সঠিক ছিল এটাও জানানো হয়। ঘটনাচক্রে আইসিসির প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা কামাল নিজেও একজন বাংলাদেশি, তিনিও নিজের দেশের মানুষের ক্ষোভ কে সামাল দিতে তদন্তের আশ্বাস দেন, কিন্তু অন্যান্য সহযোগীদেরদের থেকে এবিষয়ে সাহায্য পান নি এই অভিযোগে তিনি পদত্যাগ করেন সভাপতির পদ থেকে।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যদিও তিনি বলেছেন - আইসিসি এখন ‘ International Cricket Council’  এর চেয়ে বেশি ‘Indian Cricket Council’ বলা যুক্তিযুক্ত, ভারতের চাপেই নাকি বিভিন্ন অনৈতিক এবং বেআইনি কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে যার প্রতিবাদেই এবং নিজের দেশের ১৬কোটি মানুষের হৃদয়ের দাবী মেনেই তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত, কিন্তু সরকারিভাবে আইসিসির আধিকারিকরা যা জানিয়েছেন তাতে অবশ্য বলা হয়েছে কামাল এমন কোন কারণেরই উল্লেখ করেননি পদত্যাগপত্রে, তিনি শুধু ব্যক্তিগত কারণে এই পদ ছাড়তে আগ্রহী এমনটাই লেখা ছিল বলে দাবী।বলার মত বিষয় বিশ্বকাপের মাঝপথেই কামাল সরে যাওয়ায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয় সেই ভারতেরই আরেক বিতর্কিত ব্যক্তি এন শ্রীনিবাসনকে, যিনি গত বছর থেকেই আইসিসি চেয়ারপার্সন এর ভূমিকা পালন করছিলেন এবং সদ্য আইপিএল ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে তাঁর জামাইএর জড়িত থাকার অভিযোগে এবং সন্দেহের তীর তাঁর দিকেও থাকায় নৈতিক দায় হিসেবে আদালতের নির্দেশে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হন। আবার এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবধি সহানুভূতিশীল মন্তব্য করেন এই খেলার ফলাফলের বিষয়ে,আইসিসি ও ভারতের বিরুদ্ধে ব’লে, যা বিতর্ক আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেয়।যাই হোক,পদ্মাপারের মানুষের এই হতাশাজনিত ক্ষোভে হয়ত কিছুটা প্রলেপ পড়ে এর কিছুদিনের মধ্যেই যখন ভারত নিজেও ছিটকে যায় টুর্নামেন্ট থেকে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে।বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন অবশ্য এই আবহে ভারতকেই পরোক্ষ সমর্থন দিয়েছিলেন,নিজের দেশ কে সমর্থন করেও তিনি চেয়েছেন দুই প্রতিবেশী দেশ যেন খেলার মত একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে এভাবে বিষিয়ে না ফেলে নিজেদের এতদিনের সম্পর্ক।


 সেই ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জন্মলগ্নে তাদের বীর সেনানীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় সেনাদল, তার পরেও নানাভাবে বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক ও কূটনীতিক স্তরে পরস্পরের পাশে থেকেছে দু দেশ। ভারতের বাণিজ্যিক পণ্য রফতানিরও একটা বড় অংশ কিন্তু এই বাংলাদেশের সৌজন্যে
তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেসারা দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা, শাহবাগ আন্দোলন, তার প্রেক্ষিত ও তার পরবর্তী হিংসাত্মক ঘটনাক্রম চিন্তার ছায়া ঘনিয়ে তুলছে শান্তিকামী সাধারণের মধ্যে।হয়তো কিছুটা সে কারণেও এই একটা খেলা জিতে নিজেদের মনোবল উজ্জীবিত করতে চাইছিলেন অনেকেই।পরাজয় পরবর্তী ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ সেখানেও যুক্তিসঙ্গত মানে খুঁজে পায় হয়তো কিছুটা।তবে আশার কথা ধীরে ধীরে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার দিকে এগোচ্ছে।যেখান থেকে তিক্ততা বাড়ছিল সেই সোশ্যাল মিডিয়া তেও কিছু মন্তব্য চোখে পড়ছে যেখানে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখার বার্তা এবং সমঝোতার কথার উল্লেখ থাকছে।

ক্রিকেট নিয়ে এই উপমহাদেশের আবেগ সত্যি ব্যাখ্যার বাইরে।সবচেয়ে মজার ব্যপার (আয়রনি) হল এটাই যে ইংরেজরা যারা উপনিবেশ গড়েছিল ভারতে , দেশ ভেঙ্গে তিন টুকরো করেছিল আবার ক্রিকেট খেলার বীজটা রোপণ করেও গিয়েছিল ,আজ তাদেরকে ছাপিয়ে গেছে তাদের উপনিবেশগুলোই
 দৈনন্দিন জীবনের নানা ব্যর্থতা হতাশা,পিছিয়ে পড়ার দুঃখ ভুলতে এই খেলাটার দিকে তাকিয়ে থাকেন বহু মানুষ।যতই রামগোপাল বর্মার মত চিত্রপরিচালক বলুন না কেন,দেশের যুবসমাজ কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে এবং কাজের অগ্রগতিও হ্রাস পাচ্ছে এই খেলাটার জন্য ;-ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা নিম্নগামী হওয়ার কোন লক্ষণ চোখে পড়েনা।বরং উল্টো মতটাই সংখ্যাগরিষ্ঠ এ কথা সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়। চার বছর পর পর ফিরে আসা বিশ্বকাপে তাই আশা ,আকাঙ্ক্ষা ,হতাশা ,স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের নতুন নতুন কাহিনী তৈরি হতেই থাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন