২৬ এপ্রিল ২০১৫

রিভিউয়ের রিভিউ - তন্ময় ভট্টাচার্য্য

মাস্টারি – তবুও প্রয়াস

এ যেন খোদার ওপর খোদকারি। স্কুলে একবার মনিটরদের ওপর নজর রাখার জন্য ক্লাসটিচার আমায় নিয়োগ করেছিলেন, বেচাল দেখলেই নালিশ। আজ প্রায় বছর দশেক পর সম্পাদকমশাই’এর কাছ থেকে সেই গুরুদায়িত্ব পেয়ে যাহাপরনাই আহ্লাদিত বোধ করছি। পুরো বই পড়ার বদলে প্রফেসর’রা যেমন পাশ করার জন্য টু-দ্য-পয়েন্ট নোট বানিয়ে দেন, সেরকমই সারমর্ম বলা যেতে পারে লেখাটিকে। পাশ হয়তো করতে পারবেন এটি পড়ে, কিন্তু গভীরে যেতে হলে পুরো পত্রিকাটির পঠন অবশ্যকাম্য।


সম্পাদকীয়’তে লেখা হয়েছে – “আলগা আর আলস্য - এর মধ্যে একটা যোগ আছে। আসলে আমরা যখন কিছু পড়ি বা দেখি তখন যদি সেটার ভিতরে না ঢুকতে পারি তাহলে আমরা সেটার 'রিভিউ' লিখতে পারব না” এই ভেতরে ঢোকার কর্মটি একেকজনের কাছে একেকভাবে ধরা দেয়। কেউ অনুভূতির প্রাবল্যে জারিত হন, কেউ বা খোসার পর খোসা ছাড়িয়ে গোড়ায় না পৌঁছলে তৃপ্তি পান না। সমালোচনা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুষ্টিযোগের সমতুল্য হয়ে ওঠে, আর নিরীহ লক্ষ্যটি ভাগ্যের হাতে নিজেকে তুলে দিয়ে ঝুলে থাকেন মাংসের দোকানের পাঁঠার মতো। ভালো সমালোচক পাওয়া নোবেলপ্রাপ্তির সমতুল্য। কোটিতে একজন। কিন্তু তিনি যে আদর্শ রেখে যান আগামী’র কাছে, তা দশকের পর দশক ধরে সমাদৃত হয়। বাংলা সংস্কৃতি’র চরম সৌভাগ্য যে বুদ্ধদেব বসু’র মতো ব্যক্তি’র স্পর্শ লাভ করেছিল।


আলোচনায় ফিরি। পত্রিকার নাম – ‘তবুও প্রয়াস’। কীসের প্রয়াস? কেনই বা এই প্রয়াস? শর্টকাটে কাজ হাসিল করার জমানায় প্রয়াস আবার কেউ করে নাকি? তাহলেই তো একের পর এক সূত্র ধরে বেরিয়ে আসবে জটিলতা। সাফল্য অনেক পরের কথা। আমরা জোড়াতালি দিয়ে কোনোক্রমে টিকিয়ে রাখতে পারলেই নিজেদের ধন্য মনে করি। তাহলে?

সব এলাকাতেই কিছু দামাল তরুণ থাকে, গতানুগতিকের থেকে আলাদা, যারা স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের মাঝে দুলতে দুলতেও বের করে নেয় নিজস্ব রাস্তা। তাদের স্বপ্ন ও লক্ষ্যের মুখপত্রই যদি হয় এই পত্রিকা, ক্ষতি কি? স্থিতিশীলতার থেকে গতি সবসময়ই বেশি আদরণীয়। সেই সংযত উদ্দামতার প্রয়াস। বেঁচে থাকার, বাঁচিয়ে রাখার। যা প্রয়াস ছাড়া এই সংকটের দিনে সত্যিই অসম্ভব।


(১)

ভিশ্যুয়াল ইন্টারপ্রিটেশান কী? খায় না মাথায় দেয়? ভাবতে ভাবতে স্ক্রিনে ফুটে ওঠে একটি ছবি। মৃগাঙ্কশেখর গাঙ্গুলি’র তৈরি। একটি কবিতার একটি ছবির মাধ্যমেই দৃশ্যায়ন। তা আবার কীভাবে সম্ভব? জানতে গেলে দেখতে হবে। অনুভূতি কখনো কখনো বর্ণনাতীত হয়ে দাঁড়ায়। একমাত্র তখনই তা কিছুটা এগিয়ে যায় অমরত্বের পথে। ঝাপসা ও বিপর্যস্ত পটভূমির মধ্যে থেকে একটি হাত আড়াল করতে চাইছে গোপনাঙ্গ, ব্যথায় ও লজ্জায় কুঁকড়ে গিয়েছে তার চামড়া। পাশেই দুটি শ্বেতশুভ্র প্লেটে কর্তিত স্তন, আভাস দিচ্ছে ক্ষুধা ও লালসার। কলঙ্কিত পৌরুষের ইঙ্গিত কাঁটাচামচ আর ছুরির ইঙ্গিতে। বাকিটা ব্যক্তিগত...


(২)

‘এডউড’ নামক একটি সিনেমার রিভিউ করেছেন সোহম চক্রবর্তী। সিনেমাটি এডওয়ার্ড ডি. উড জুনিয়র নামক এক পরিচালকের জীবনী। যাকে বলা হয় পৃথিবীর নিকৃষ্টতম পরিচালক। তার হয়ে ওঠা, যাপন, বন্ধুত্ব, ব্যর্থতা ও পরিহাসময় যাত্রা অদ্ভুত সৌন্দর্যে ও সাবলীলতায় উঠে এসেছে সোহম চক্রবর্তীর বর্ণনায়। ভিশ্যুয়াল বিষয়ের লিখিত রূপ দেয়ার জন্য যে মুন্সিয়ানার পয়োজন, তাতে সন্দেহ নেই। “উডের যতটুকু জীবন দেখানো হয়েছে তাতে দুঃখের লেশমাত্র নেই। এও একধরনের শিক্ষা হয়তোযে সমাজ আমাদের শিখিয়েছে যে পরিচিতি পাওয়ার মধ্যেই শ্রেষ্ঠ সাফল্য, উডও নিশ্চিত সেই সমাজেরই একজন ছিলেন। তিনিও পরিচিতি পেতে চেয়েছিলেন। পাননি। কিন্তু তাতেই কি তাঁর জীবন অসফল হয়ে গেল?” লেখক এই যে প্রশ্ন তুলেছেন, তা কি প্রত্যেক সাফল্য-পেতে-চাওয়া অথচ না-পাওয়া মানুষেরই গল্প নয়? প্রশ্ন রইলো।


(৩)

“রাতে পড়বেন না” – প্রচেত গুপ্ত’র একটি গল্প সংকলনের নাম। সেটির সমালোচনা লিখেছেন সায়ন্তন মাইতি। সায়ন্তন মাইতি বর্তমান সময়ের প্রাবন্ধিকদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। কাজেই তাঁর সমালোচনায় যে বুদ্ধিমত্তার ছাপ থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। “তবু রাতেই পড়লাম। সবকটা গল্পই রাতে পড়লাম। দিনে সময় থাকলেও অন্য বই পড়ে নিতাম। কিন্তু এই বইটা খুলতাম না। প্রচেত গুপ্তও জানতেন বইয়ের নাম রাতে পড়বেন নাদেখে সবাই রাতেই পড়বে। সেজন্যই বোধ হয় গল্প সংকলনটার নাম দিয়েছেন শেষ গল্পটার নামে। আর মলাটখানাও এমন যে কেনার সাথে সাথেই গা-ছমছমে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে দেবে” লেখকের সহজাত রসবুদ্ধির প্রমাণ পাওয়া যায় শুরু থেকেই। তারপর পরতে পরতে বিশ্লেষণ ও আত্মপোলব্ধির মাধ্যমে বইটি পাঠের আকর্ষণ ও উৎসাহ অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিয়েছেন সায়ন্তন মাইতি। আর এখানেই তাঁর কলম সফল।


(৪)

কোনো কোনো লেখার সামনে স্তব্ধ হয়ে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। কবিতার মর্মস্পর্শী বিশ্লেষণ তখনই সার্থক, যখন তা আত্মা দিয়ে অনুভব করা যায়। আর সেই কাজটিতে মিলন চট্টোপাধ্যায়ের মত পারদর্শী কমই আছেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের একটি প্রবাদপ্রতিম কবিতা “যখন বৃষ্টি নামলো”এর প্রসঙ্গে মিলন চট্টোপাধ্যায় বলছেন – “কবি যেন সেই মানুষ যিনি দাঁড়িয়ে আছেন আগুনের ঘেরাটোপে! অপেক্ষা করছেন চলচ্ছক্তিহীন হয়ে কখন নামবে বৃষ্টি যখনই সেই বৃষ্টি নেমে আসছে কবি ছুটছেন কাউকে দেখতে চেয়ে কোথায় সেই প্রার্থিত মানুষ ? মেঘে  বৃষ্টিতে মিশে কেন শিউলিগাছের তলায় সে আসতে পারে! শিউলি গুল্ম, বৃক্ষ নয় ফুল আরও আছে তবু শিউলিই কেন! নাকি মগ্ন চৈতন্যর রঙে মিশে যায় শিউলির সাদা আর কমলা? এই ভিজে যাওয়া আসলে শুদ্ধতার প্রতীক, শিউলি ফুলের মত সাদা কবি শুদ্ধ করছেন অন্তরাত্মাকে আকাশ ছেঁচা জলে।” এমন অপূর্ব পবিত্রতার সামনে নতজানু হতে হতে লেখকের সঙ্গে আমিও বলে উঠি সেই পঙক্তি – “ভারি ব্যাপক বৃষ্টি আমার বুকের মধ্যে ঝরে”।


আর এক হয়ে যাই সৌহার্দ্যের পরমতম বন্ধনে...


(৫)

অনির্বাণ ভট্টাচার্য আলোচনা করেছেন কলকাতা বইমেলা ২০১৫’য় ভাষাবন্ধন কর্তৃক প্রকাশিত ‘কথাবার্তা সংগ্রহ – নবারুণ ভট্টাচার্য’ বইটির। সদ্যপ্রয়াত কবি ও লেখক নবারুণ ভট্টাচার্য তাঁর অমর সৃষ্টির মাধ্যমে পাঠককে আপ্লুত করেছেন বারবার। প্রয়াণের পর তাঁর যাবতীয় লেখা ও সাক্ষাৎকার’কে একত্রিত করার উদ্দেশ্যেই এই বইটির প্রকাশ। আলোচক অনির্বাণ ভট্টাচার্য সাবলীল দৃষ্টিতে নিজস্ব অনুভূতি ও পাঠ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, যা সততার জোরে নিখুঁত হওয়ার দিকে এগিয়ে গেছে অনেকটাই।


(৬)

জাফর পানাহি ইরানের একজন প্রসিদ্ধ পরিচালক। তাঁর সিনেমা ‘ক্লোজড্‌ কার্টেন’ নিয়ে আলোচনা করেছেন অভ্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায়। জাফর পানাহির সিনেমা তাঁর দেশের সরকার কর্তৃক ক্রমাগত নিষিদ্ধ হতে থাকায় এই সিনেমায় তিনি নিজেকেই নিষিদ্ধতার একটি অঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করেছেন। কাহিনীটি অভ্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায়ের বর্ণনায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে এবং আকর্ষণীয়ও বটে।


(৭)

বুদ্ধদেব গুহ বাংলা সাহিত্যের এক স্মরণীয় নাম। তাঁর উপন্যাস আপামর পাঠককে মুগ্ধ ও আচ্ছন্ন করেছে বছরের পর বছর। প্রকৃতিচেতনা ও সম্পর্কের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম টানাপোড়েনের জটিলতায় তাঁর দখল সত্যিই প্রশ্নাতীত। কালজয়ী বেশ কিছু উপন্যাস, যেমন – ‘মাধুকরী’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’, ‘কোজাগর’, ‘কোয়েলের কাছে’, ‘বাবলি’ ইত্যাদিতে প্রকৃতি ও প্রেম আবির্ভূত হয়েছে উপন্যাসের পটভূমিকায়।

দীপঙ্কর বেরা এখানে আলোচনা করেছেন বুদ্ধদেব গুহ’র ‘পর্ণমোচী’ উপন্যাস সম্পর্কে। কিন্তু সীমাবদ্ধতা ও একটি উপন্যাসের সমালোচনার জন্য যথেষ্ট যত্ন না নেওয়ায় সামগ্রিকভাবে আলোচনাটি কিঞ্চিৎ দায়সারাই লেগেছে। অন্তত আরো যত্নে ও বিস্তৃতি সহকারে লেখা যেতো উপন্যাসটির সারবস্তু ও পাঠ-অনুভূতি।


(৮)

‘সুরজিৎ ও বন্ধুরা’ ব্যান্ডের কিছু গান নিয়ে আলোচনা করেছেন জয়তী অধিকারী। গান যেহেতু শ্রুতি’র মাধ্যম, তাই শোনার পর কথা ও  সুর সহযোগে পরিপূর্ণতার রেশ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় সুচারুভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আলোচনাকারী। রিভিউ হিসেবে সেটি সার্থক। কিন্তু আমি নিজে ওই গানগুলি না শোনায় ও সুরের মাধুর্যে বুঁদ হওয়ার সুযোগ এখনও না আসায়, অনুভূতিগুলি’কে জয়তী অধিকারী’র একান্ত নিজস্ব হিসেবেই স্বীকৃতি দিলাম, একাত্ম হলাম না, একতরফা কথার তরীতে ভর করে...

 

(৯)

সপ্তর্ষি চ্যাটার্জি লিখেছেন ক্রিকেট সম্পর্কে রিভিউ। সেই বিতর্কিত ভারত-বাংলাদেশ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ নিয়ে। যেটি ইতিমধ্যেই বহু আলোচিত এবং দুই দেশের সম্পর্কেরও অবনতি ঘটেছিল ওই ম্যাচটি কেন্দ্র করে। ক্রিকেটের রিভিউ বলতে আমরা সংবাদপত্রের আর্টিকেল পড়েই অভ্যস্ত। সেখানে এই লেখাটি যেন মাধ্যমিকের “তোমার দেখা একটি খেলার অভিজ্ঞতা” জাতীয় প্রবন্ধ রচনার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবন্ধ হিসেবে যতখানি সার্থক, রিভিউ হিসেবে কিনা, প্রশ্ন রইলো।


(১০)

নিবেদিতা ঘোষ মার্জিত লিখেছেন “আরো অনেক অল্প কথায় গপ্পো” নামক অণুগল্পের সংকলনটি নিয়ে। যেটি কলকাতা বইমেলা ২০১৫’য় প্রকাশিত, ‘পত্রভারতী’ থেকে, ‘সুরজিৎ ও বন্ধুরা’ কর্তৃক। আলোচক বলছেন – “যারা সাহিত্যে ঘুমোন, সাহিত্যে শ্বাস নেন তাদের মনে হতে পারে একটি সাধারণ প্রয়াস।  কিন্তু এই প্রয়াসটিতে একগুচ্ছ মানুষ আছেন যারা লেখালেখি করেন আর একসাথে হয়ে আরও নতুন কলমচিদের লিখবার জায়গা করে দিয়েছেন। এটা ইংরেজি মিডিয়ামের জ্বরগ্রস্ত নাগরিক সমাজের পক্ষে জলপট্টি। জ্বর ছাড়বে কিনা জানা নেই... তবুও চেষ্টা”উদ্যম হিসেবে সত্যি প্রশংসনীয়। একই সাথে যদি পছন্দের অণুগল্প লেখকদের লেখা নিয়েও স্বল্প পরিসরে আলোচনা করতেন আলোচক, পাঠকদের কাছে একটা দিশা পৌঁছতো সমকালীন লেখকদের সম্পর্কে। কেননা ঋদ্ধ এই সংকলনটি যে ‘ছাইচাপা সোনা’র মতো ভবিষ্যতের অনেক সফল সাহিত্যিক’কে বহন করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


(১১)

শ্রেয়ণ রায় আলোচনা করেছেন বালিগঞ্জ স্বপ্নসূচনা’র নাটক ‘নাগমন্ডলা’ নিয়ে। না-বলে উপায় নেই, দায়সারা লেখা ও গভীরতার অভাবে আলোচনাটি কোনো উৎসাহ’ই জাগায়নি পাঠক হিসেবে আমার মনে। যেন আলোচক’কে শব্দ বেঁধে দেয়া হয়েছিল, অতিক্রম করলেই ফাঁসি।


অতএব হেড একজামিনার হিসেবে তবুও প্রয়াস’কে লেটার মার্কস না দিতে পারলেও প্রথম ডিভিশানে পাশ করেছে অবশ্যই। বাকিটা পাঠক’দের জন্য থাক...



৪টি মন্তব্য:

  1. অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার লেখা টির মুল্যায়ন করার জন্যে

    উত্তরমুছুন
  2. ধন্যবাদ তন্ময়-দা ...রিভিউএর রিভিউ –এর রিভিউ করতে গেলে বাহবা ছাড়া আর কিছু দেওয়ার নেই । ভালো থাকবেন ।

    উত্তরমুছুন
  3. তন্ময়ের রিভিউের রিভিউ পড়ে একটা সার্বিক ধারণা নিলাম। তারপর ইন্টারেস্টিং বিষয়গুলোতে চোখ রেখে দেখলাম। ভালো কাজ হয়েছে । রিভিউ সাপম্রতিক সাহিত্য কর্মকাণ্ডের উপর থাকলে তা পড়ার একটা আকর্ষণ পাওয়া যায় । শুভেচ্ছা

    উত্তরমুছুন
  4. তন্ময়ের রিভিউের রিভিউ পড়ে একটা সার্বিক ধারণা নিলাম। তারপর ইন্টারেস্টিং বিষয়গুলোতে চোখ রেখে দেখলাম। ভালো কাজ হয়েছে । রিভিউ সাপম্রতিক সাহিত্য কর্মকাণ্ডের উপর থাকলে তা পড়ার একটা আকর্ষণ পাওয়া যায় । শুভেচ্ছা - জুবিন ঘোষ

    উত্তরমুছুন