১৭ অক্টোবর ২০১৪

সম্পাদকীয়



সম্পাদকীয়

প্রত্যেকটা চলার মাঝেই আনন্দ থাকে। যার কোন ক্যালকুলেশন থাকেনা।আমরা আমাদের চশমা ,আতস কাঁচ –ফেলে রেখে নির্দ্বিধায় দূরবীন হাতে এগোতে পারি। 


নিকোটিনে পোড়া বাতাস থেকে বেঁচে থাকার জন্য রুমালের সর্দি শুঁকতে শুঁকতে যে সকল পথিক হেঁটে যায়- তাঁদের বার্ধক্যজনিত দুরারোগ্যের নিয়মক হয়ে উঠুক সবুজ প্রাণ। 


সবাই পিছনে,তার পিছনে দাঁড়িয়েই হাত বাড়ালাম। তোমাদের দূরতম আঙুলটি ছুঁয়ে দাও কিবোর্ডে। বৃক্ষরোপণ শুরু হোক এ মরসুমেই।
                                                       সম্পাদক
                                                    সেলিম উদ্দিন মণ্ডল       

১৬ অক্টোবর ২০১৪

খোলা চিঠি-ফাল্গুনী ঘোষ

খোলা চিঠি

আমার প্রিয়
তরঙ্গ পাঠক-পাঠিকা,


দীর্ঘক্ষণ হ্যাচর প্যাঁচর করাতেই আমার স্বপ্নজালটি ফুটিফাটা। অন্ধকার মাতৃজঠরের তীব্র বেদনা বইতে বইতে হঠাৎ আলোর মুক্তি। একটানা একঘেয়ে কান্নার পর ড্যাবড্যাবে মণির নিশপলক ঔজ্জ্বল্যে দেখি বহু শ্বাস- প্রশ্বাস!! কত তার রকম ফের কেউ বা শ্লথ, কেউ বা দ্রুত, কারো আবার বুক চাপা। অথচ সবার অধীর আগ্রহে শুভ্র দন্তবিকাশের ঝিলিক। সেই ঝিলিকেই কান্নার পাঠ ছেড়ে প্রথম আনন্দের মজা নিলাম। হাসতে শিখলাম।

কিন্তু এ কী! তোমরা সব যাও কোথায় ? আমার কচি হাতটা যে বাড়িয়ে দিয়েছি তোমাদের দৃঢ় অঙ্গুলি স্পর্শে হাঁটি হাঁটি পা পার স্পর্ধায়। এই যে কাঁচা-পাকা চুল, চশমাধারী মধ্যবয়স্ক দাদা আপনার কাছেই যে পাব জ্ঞানবৃদ্ধের উপদেশ। ও মা --রাগ করে পালালে চলবে কেন মেয়ে- তোমার অনুভূতির তরলতাতেই তো উচ্ছল হয়ে উঠবো আমি। হ্যাঁ, তরুণ যুবক -- তোমার ধূসর পদার্থের চিন্তা তরঙ্গ কে বিশ্বায়িত করার চলনে আমিও সামিল হতে চাই।

সবার মনে জমিয়ে আড্ডা দেব-মন থেকে মননে, মনন থেকে চিন্তায় দৌড় করবসবার আনন্দ, সুখ, দুঃখ, আবেগের ভাগীদার হবএটাই আমার সেই আনকোরা স্বপ্ন। আমার জন্মদাতা ও জন্মদাত্রীকে কথা দিয়েছি তোমরা আমার সাথী হবে।

                                                                                    
ফাল্গুনী ঘোষ

১৪ অক্টোবর ২০১৪

কবিতা-দেবজ্যোতি কর্মকার




পাখি
দেবজ্যোতি কর্মকার

অবশেষে
পাখিদের নিয়ে পড়লে?
আমাকেই তো আটকে দিতে পারতে?

আমি তো কবে থেকেই ছটফট করছি
খাবার খুঁটে দিচ্ছি ফেলে
পাখিদের মতোই ঢুকে পড়ছি
অনন্ত খাঁচায়

রোজ তোমাকে গান শোনাবো বলে
বদলে নিয়েছি
গলার কর্কশ

একটা বাধ্য পাখি নাগালে পেয়েও
কষ্ট দিলে পোষা টিয়া
আর ময়নাদের?

কবিতা-দেবায়ুধ চট্টোপাধ্যায়

পুরোনো স্রোতেরা যেভাবে আবার ফিরে আসে 
দেবায়ুধ চট্টোপাধ্যায় 

এখানে স্রোত তোমার মতো একা
আমিও র‍্যাঁবো মাতাল তরণিতে
ঝড় বাদল রাতের চেয়েও ন্যাকা
তোমার মুখ লেনিন সরণিতে 


এখানে রাম বৃষ্টি হয়ে ঝরে
ধোঁয়ার ঢেউ তোমার মুখ আঁকে
 
নেশার ঘোরে যখন মনে পড়ে
ক্লাস ইলেভেন আমাকে ফের ডাকে 


সাড়া দেবার আগেই তুমি তাও
গাছের রূপে দাঁড়ালে শীত জুড়ে
ও স্রোত, আমায় জোয়ার করে দাও
ছোঁয়ার আগে আবার যাবো পুড়ে...